গণতন্ত্র ও ইসলাম দুটি আলাদা জীবনব্যবস্থা!!!!!!!!!!

images

গনতন্ত্র ও ইসলাম এর মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে তা হল

  • গনতন্ত্র একটি কুফুরি শিরকি জীবনব্যস্থা। ইসলাম আল্লাহর দেয়া মনোনীত জীবন ব্যবস্থা।
  • ইসলাম আল্লাহর দেয়া পূর্নাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন” যারা ইসলাম ছাড়া অন্য কোন জীবন ব্যবস্থা চায়, কখনো তা গ্রহন করা হবে না”। (সুরা আল-ইমরান-আয়াত-৮৫)। তিনি আরো বলেছেন,”ইসলামই আমার কাছে একমাত্র মনোনীত জীবন ব্যবস্থা (সূরা আল ইমরান-১৯)

পক্ষান্তরে সরকার বলছে পূজিবাদ বা গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা হচ্ছে রাস্ট্রের জন্য মনোনিত জীবন ব্যবস্থা এবং জনগণকে সে ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে। এ গণতন্ত্র ইহুদী-খৃস্টানদের তৈরি অসম্পূর্ন ব্যবস্থা।

  • আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, “আল্লাহ যাবতীয় বিষয়ের উপর সর্বময় ক্ষমতাশীল ও সার্বভৌম শক্তির অধিকারী।” (সূরা বাকারা -২০,১০৯,১৪৮,২৫৯)পক্ষান্তরে এ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বলছে “ জনগণ সকল ক্ষমতার অধিকারী”।
  • ইসলামে তওহীদ,আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস। আল্লাহর অস্তিত্ব অনস্বীকার্য। গণতন্ত্রে আল্লাহর অস্তিত্ব উপেক্ষিত। আল্লাহর অস্তিত্ব নীরব।
  • ইসলামে আইনের উৎস কুরআন ও সুন্নাহ। গণতন্ত্রে আইনের উৎস মানুষের খেয়াল খুশি। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন” আল্লাহ ছাড়া আর কারো বিধান বা আইন দেয়ার ক্ষমতা নেই।” (সূরা ইউসুফ-৪০) । পক্ষান্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বলছে পার্লামেন্টে বসে এম পি সাহেবরা যেমন ইচ্ছে আইন বানাতে পারবেন। জনগণই এ ব্যবস্থায় বিধান প্রনয়ন করে এবং তারা নিজেদের তৈরী কর্তৃপক্ষ ব্যতিত অন্য কারে কাছে জবাবদিহিী করে না। জনগণই সার্বভৌমত্ব চর্চা করতে পারে। তাই জনগণই এ ব্যবস্থার প্রভূ।
  • আল্লাহ তায়ালা বলেছেন” আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদানুযায়ী যারা বিচার ফায়সালা করে না ,তারাই কাফের। (সুরা মায়িদা-৪৪)।……. আল্লাহ যা অবতীণ করেছেন, তদনুযায়ী যারা বিচার ফায়সালা করে না তারাই জালেম। (সুরা মায়িদা-৪৫) আল্লাহ যা অবতীণ করেছেন, তদনুযায়ী বিচার ফায়সালা করে না , তারাই ফাসেক। (সূরা মায়িদা-৪৭)। পক্ষান্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বলছে কোট কাচারীতে আল্লাহর বিচার ব্যবস্থ‍া চলতে পারবে না।
  • ‌আল্লাহ তায়ালা বলেছেন “যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই জাহান্নামে যাবে(সুরা বাকারা-২৭৫), কিংবা “আল্লাহ তায়ালা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন (সুরা বাকারা-২৭৫)।‍ আল্লাহ তায়ালা আরো বলেছেন, ‍”হে ঈমানদারগন! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সূদের যে সমস্ত বকেয়া আছে তা পরিত্যাগ কর,যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক। অতঃপর যদি তোমরা পরিত্যাগ না কর, তবে আল্লাহ ও তার রসুলের সাথে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত হয়ে যাও (সূরা বাকারা -২৭৮-২৭৯)।পক্ষান্তরে এ ফেরআউন রুপি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বলছে অর্থনীতিতে সূদের লেনদেন চলবে।
  • আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, “তোমরা জেনার কাছেও যেও না” (সুরা ইসরা, আয়াত-৩২) আর বর্তমান রাষ্ট্র ব্যবস্থা পতিতাবৃত্তির (বেশ্যাবৃত্তি) লাইসেন্স দিচ্ছে, জিনা-ব্যাভিচারকে হালাল করে দিচ্ছে। ডিশ কালচার , নারী ক্ষমতায়নের নামে জেনাকে প্রতিষ্ঠানীক রুপ দেয়ার কাজ করছে।
  • আল্লাহ তায়ালা মহিলাদের হিজাব পরার ব্যাপারে নিদেশ দিয়েছেন “আর মুমিন নারীদেরকে বলুন, তারা তাদের দৃস্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে। আরা যা সাধারনত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না। তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে। (সূরা নুর-৩১)। পক্ষান্তরে গণতান্ত্রিক সরকাররা দেশে দেশে মেয়েদের হিজাব পরার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করা, কোথাও কোথাও বাধা সৃষ্টি করছে এবং অনেক দেশে হিজাবকে নিষিদ্ধ পযন্ত করার দূঃসাহস দেখিয়েছে।
  • ইসলামের লক্ষ্য আত্বিক,পরকাল এবং ‍পাথিব উন্নতি। আর গণতন্ত্রের লক্ষ্য শুধু ক্ষমতার রাজনীতি।
  • ইসলামের শিক্ষা নিঃস্বার্থ আত্বত্যাগ। আর গণতন্ত্রের শিক্ষা ব্যক্তিস্বার্থ ভোগবাদ।
  • শেষ কথা হল-মুসলিমরা ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারবে না কিংবা অন্য কোন জীবন ব্যবস্থা কায়েমের জন্য কাজ করতে পারবে না কিংবা অন্য কোন জীবন ব্যবস্থার দিকে মানুষকে আহবানও করতে পারবে না। কারন আল্লাহ তায়ালা মুসলিমদের জন্য একমাত্র ইসলামী ব্যবস্থাকেই মনোনিত করেছেন। ইসলাম ব্যতীত অন্য সকল কিছুই জাহিল ও বাতিল । কোন মুসলিম  কোন জাহিল ব্যবস্থার দিকে মানুষকে আহ্বান করতে পারবে না। রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন

” আর যে জাহিলি মতবাদ ‌আর আদর্শের দিকে লোকদের আহবান করলো, সে জাহান্নামী। যদিও সে রোজা রাখে,নামায পরে এবং নিজেকে মুসলিম হিসেবে দাবী করে।”-তিরমিযি,মুসনাদে আহমাদ।

আসুন আমরা  এই গণতন্ত্র নামক কুফুরি ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে ইসলামকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানার চেষ্টা করি……..

লেখাটি কপি পেস্ট করুন সবাইকে জানিয়ে দিন।সঠিক ইসলাম প্রচারে আপনিও অংশগ্রহন করুন…………………….

This entry was posted in Uncategorized. Bookmark the permalink.

Leave a comment