দাজ্জালের মহা ফিতনা ও বর্তমান বিশ্ব -১

1476148_769385463195308_3249432987876208890_n.jpg

ভূমিকা

ইতিহাসের শুরু থেকেই সত্যের সাথে মিথ্যার দ্বন্দ্ব চলে আসছে এবং শেষ হবে মিথ্যার চির পরাজয়ের মাধ্যমে অর্থাৎ ইসা (আ) কর্তৃক সবচেয়ে বড় ফিতনা মিথ্যুক দাজ্জালকে হত্যার মাধ্যমে।

আল্লাহ পৃথিবীতে আদম (আ) (মানুষ) কে প্রেরণ করেছেন আল্লাহর খালিফা হিসেবে যেখানে মানুষ আল্লাহর দেয়া নিয়ম অনুযায়ী শাসন করবে। অর্থাৎ সার্বভৌম এবং মালিকানা হবে আল্লাহর। কিন্ত বাতিল শক্তি (ইবলিস) কে ক্ষমতা এবং দুনিয়ার খিলাফত না দেয়ায়, এই শয়তানী শক্তি সব সময় মানুষ কে গুমরাহ করে আল্লাহর মালিকানা ভুলে শিরকের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে আসছে, আর ইবলিশের এই চেষ্টার সর্বশেষ হাতিয়ার হল ভন্ড দাজ্জাল।

দাজ্জাল হলো একজন ভণ্ড মাসীহা যে শেষ যামানায় এসে নিজেকে সত্য মাসীহ অর্থাৎ ইসা (আ) দাবী করবে এবং পরে নিজেকে আল্লাহ বলে দাবী করবে বলবে আমি হলাম পালনকর্তা (নাউযুবিল্লাহ)।

নবী করীম (সা) বলেন দাজ্জালের ফিতনা হবে কিয়ামত অবধি সবচেয়ে বড় ফিতনা। আর পৃথিবীতে তার অবস্থান হবে ৪০ দিন, ১ম দিন হবে ১ বছরের সমান,২য় দিন হবে ১ মাসের সমান,৩য় দিন হবে ১ সপ্তাহের সমান আর বাকি ৩৭ দিন হবে আমাদের দিনের মত। অর্থাৎ মোট ১ বছর ২ মাস ১৪ দিন।

বর্তমানে দাজ্জাল এর খুরুজ বা প্রকাশ না হলেও তার আসার আগেই তার কিছু ফিতনা বর্তমানেই আরম্ভ হয়ে গেছে আমরা একে দাজ্জালিয়াত বলতে পারি। আর এটা শেষ হবে যখন সে আমাদের মাঝে প্রকাশ পাবে।

প্রথমত শেষ কয়েক শতাব্দীতে আধুনিক রাস্ট্রব্যবস্থা’র (Political System) নামে একটা মহা ফিতনা শুরু হয়েছে যার লক্ষ্য হল পরোক্ষ ভাবে প্রতিটি মানুষকে আল্লাহর মালিকানা থেকে দূরে সড়িয়ে শিরকে লিপ্ত করা, দ্বিতীয়ত রাসুল (সা)’র বানী শেষ জামানায় সবাই সুদে/রীবায় জড়াবে এমনকি যে জঙ্গলে থাকবে তার উপর ও সুদের ছিটা পরবে, এই হাদিসটি বাস্তবায়নের সম্পূর্ণ জিম্মা নিয়ে রেখেছে বর্তমান কাগজী মুদ্রা (Paper Money) সহ পুরো Economic and monetary system, এবং সর্বশেষ মহাফিতনা দেখা দিয়েছে বিংশ শতাব্দীতে Feminist revolution অথবা নারী ক্ষমতায়নের নামে আর এই Revolution যিম্মা নিয়েছে সেই হাদিসটি পূরন করতে যেখানে রাসুল (সা) বলেছেন দাজ্জালের সর্বশেষ ও সবচেয়ে বেশি অনুসারী হবে নারীরা, এমন কি বাবা, ভাই, রা তাদের বোন, মা, স্ত্রীদের বেধে রেখেও দাজ্জালের অনুসরন করা থেকে থামাতে পারবে না। এই ফিতনাগুলোই হলো আমার এই সিরিজের মূল বিসয়বস্তু।

This entry was posted in Uncategorized. Bookmark the permalink.

Leave a comment