ফ্লাইং সোসার্স কি কানা দাজ্জালের মালিকানায়?

বর্তমান বীশ্বে চলতি হক্ব – বাতিলের এই যুদ্ধে মুসলমানদের এ কথাটি ভাল করেই চিন্তা করতে হবে যে বারমুডা ট্রাইএঙ্গেলের অভ্যন্তরে বিদ্যমান অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন শক্তি সারাবিশ্বে চলতি কুফর ও ইসলামের সর্বশেষে এ মরণযুদ্ধে কাকে সাপোর্ট করছে!

স্পেনের বিশ্লেষণ কমিটি ফ্লাইং সোসার্সকে শয়তানের রুপ বলে থাকে। একজন রোমান কেথোলিক পাদ্রি ফাদার ফ্রেক্সিডো (যাকে ফ্লাইং সোসার্স এর ব্যাপারে সনদ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।) বলেন এ সব কিছুই হচ্ছে শয়তানী কারুকার্য। চার্চ এবং আমাদের পূর্ববর্তী পন্ডিতগন যাকে শয়তান বলত, তাকেই আজ ফ্লাইং সোসার্স এর প্রানী বলা হয়। প্রত্যক্ষকারীগন ফ্লাইং সোসারস ঘুরাঘুরির সময় সেলফারের গন্ধ পেয়ে থাকে। এটা হচেছ গন্ধক পাথরের গন্ধ, যা শয়তানের দিকে নিক্ষেপ করা হয়।

ফাদার ফ্রেক্সিডো থেকে আরো কিছু মতামত পাওয়া যায়। যেমন- যখনই ক্যারিবিয়ান সমু্দ্রে ফ্লাইং সোসার্স প্রকাশ হয় স্থানীয় এলাকাসমুহে তখন অলৌকিক সব ঘটনা ঘটতে থাকে। যথা গিরজার মুর্তীগুলো কাদতে শুরু করে। অথবা এদের মুখ থেকে রক্ত বের হতে শুরু করে, ফটোসমুহ উজ্জল হয়ে যায়, চার্চ টাওয়ার থেকে আলোর বিকিরন ঘটে, ব্যক্তিগতভাবে সর্বাঙ্গীন রোগীর আরোগ্য লাভ ইত্যাদি।

ফ্লাইং সোসার্স প্রকাশের সময় সর্বব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তির পুর্ণ সুস্থ্যতা লাভের ঘটনা বহুল পরিমানে পরিলক্ষিত হয়েছে। বিশেষ করে ঐ সকল ব্যক্তিবর্গ , যারা ফ্লাইং সোসার্স অধিকারিদের সাথে সশরীরে সাক্ষাত করেছে, তাদের মধ্যে আশ্চা্র্য ধরনের দৈহিক ও মানসিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে।

ফাদার ফ্রেক্সিডোর মতামতের প্রমানে ঐ সকল শিক্ষার্থীদের গায়েব করাকে তুলে ধরা যায়। যাদেরকে এলাগাসের জঙ্গল থেকে গুম করা হয়েছিল। তাদের একজনের ব্রেইনে আশ্চার্য ধরনের পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়(পরবর্তীতে মেথমেটিক্সে সে সুদক্ষ হয়ে উঠে)।

আমেরিকার অত্যন্ত গুরুত্ব পুর্ন ব্যক্তিরা(বিশেষত:বড় বড় ইহুদি ব্যাংকার এবং পেন্টাগনে অবস্থিত ইহুদি জেনারেলগন) বারমুডার আভ্যন্তরীন রহস্য ভাল করেই জানে। তাদের সাথে ওখান থেকে নিয়মিত যোগাযোগ হয়। এমনটিই মনে করে ফ্লাইট -১৯( যাতে পাচটি বিমান একসাথে গায়েব হয়েছিল) এ কর্মরত ক্যাপ্টেন পাওয়ারসেরস স্ত্রী জন পাওয়ারস। তার মন্তব্য নিশ্চয় ক্যাপ্টেনগন বারমুডা ট্রাইএঙ্গেলের ভেতরের কোন গোপন , ভয়ানক ও রহস্যময় বস্তু প্রত্যক্ষ ফেলেছিল: যা তাদের বিমানগুলিকে অকেজো করে দিয়েছিল। এমন কোন বসন্ত;যা ল্যাফটনেন্ট টেলরকে এতটাই শংকিত করে তুলেছিল যে, সে কাউকে তার পিছু না নেয়ার জ্ন্য এবং স্বীয় প্রানকে শন্কায় না ফেলার জন্য নিষেধ করে দিয়েছিল। অবশ্যই তা এমন কোন বস্তু ; যাকে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থ এ মার্কীন সামুদ্রিক টিম জনসাধারনের থেকে গোপন রাখতে চায়।

আমি খুব ভাল করেই জানি – গায়েব হওয়া সকল মানুষেরা কোথায় আছে। কেননা তাদের সাথে অমার নিয়মিত যোগাযোগ হয়। শুধু তাই নয়; বরং ঐ সকল গায়েব হওয়ার ঘটনাগুলিও আমি স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেছি,বরং গায়েব হওয়া কিছু ব্যক্তিদের সাথে আমি কথাও বলেছি। যদিও এখন তাদের ফিরে আসা এবং জন সম্মুথে তাদের প্রকাশ হওয়া অসম্ভব । তারা এ পৃথিবীরই কোন এক স্থানে বিদ্যমান। আমি ১৯৪৫ সালে গায়েব হওয়া একটি প্লেনের পাইলটের সাথে আলাপ করেছি। গায়েব হওয়ার পর থেকে তার সম্পরকে কারো কিছু জানা নেই। গায়েব হওয়ার সময় তার বয়স ছিল ৫০ বছর। আর আমি তার সাথে সাক্ষাৎ করেছি ১৯৬৯ সালে। সে তখন জীবিত ছিল । কিন্তু কোথায় এ পৃথিবীরই কোন এক জায়গায়।

উপরোক্ত দাবিই পেশ করেছেন এড স্নেডেকার নামক এক বৈঙ্গানিক । এখন প্রশ্ন উথ্থাপিত হয় যে, এড স্নেডেকারের দাবি কি ভিত্তিহীন? নাকি ব্যাপারটি এমন যে,কিছু বিশেষ ব্যক্তিদের এ কথা জানা আছে যে, বারমুডার পানির গভীরে গুম হওয়া মানুষেরা কোথায় অবস্থান করছে? তাহলে কি সে বারমুডার পানির গভীরে বিদ্যমান গোপন শক্তি সম্পর্কেও অবগত।

মুহাম্মদ ঈসা দাউদ মিসরী হচ্ছেন একজন মুসলিম গবেষক। ফ্লাইং সোসার্স ও বারমুডা ট্রাইঙ্গেলের উপর তার গবেষণা খুবই গীভরে। তার মতে- ফ্লাইং সোসার্স দাজ্জালের মালিকানায় এবং তারই আবিষ্কৃত বিষয়। পাশাপাশি বারমুডার পানিতে ইবলিসের সাহায্যে সে ত্রিভুজের আকৃতিতে স্বীয় দুর্গ স্থাপন করেছে (বারমুডা ট্রাইঙ্গেলের ভেতরে বিভিন্ন প্রকারের অট্টালিকা অনেক ডুবরীগণই প্রতক্ষ করেছেন)। যেখানে বসে বসে সে তার মরীদদেরকে নিয়মিত হেদায়েত দিয়ে যাচ্ছে এবং আবির্ভাবের প্রতিশ্রুতি মুহূর্তের প্রহর গুনছে। তার সকল মিশনে সে শয়তানের পক্ষ থেকে পরিপূর্ণ সহযোগীতা পেয়ে থাকে; যা বর্তমানে সারা বিশ্বের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং গণতান্ত্রিক ময়দানে দৃশ্যমান। কোন দেশে কারা সরকার গঠন করবে, কোন দেশে কতটুকু পরিমান অর্থনৈতিক সাহায্য করা হবে, কোন কোন অঞ্ঝলে সেনাক্যাম্প স্থাপন করা লাগবে এবং কোন কোন রাষ্ট্রকে ধ্বংস করতে হবে। পাশাপশি বিভিন্ন অঞ্চলে বহমান নদীগুলো বিশেষত মুসলিম বিশ্বের সাগর-নদীগুলো শুকানোর জন্য কোথায় কোথায় বাধ স্থাপন করা লাগবে বিশ্ববাসীদের ক্ষমতায় বসীদেরকে ক্ষমতার মসনদে বসানো এবং ঐ সকল জাতিকে এখন থেকেই সরিয়ে দেওয়া যারা পরবর্তীতে দাজ্জালের বিরুদ্ধে কাতার বন্দী হতে পারে।

যতদূর পর্যন্ত জানা যায়- বারমুডা ট্রাইঙ্গেল ইবলিসের মারকাজ; এতে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু দাজ্জাল যে ওখানেই বিদ্যামান , এ ব্যাপারে প্রশ্ন উত্থাপিত হতে পারে যে, নবী করীম সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তো দাজ্জালের অবস্থান মাশরিক তথা আরবের পূর্বদিকে নির্ধারন করেছেন আর বারমুডা ট্রাইঙ্গেলতো আরবের পশ্চিমে এর প্রতি উত্তরে মুসলিম গবেষক মুহাম্মাদ ঈসা দাউদ মিসরী বলেন- নবী করীম সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়া থেকে বিদায় নেওয়ার পর দাজ্জাল পূর্বের ন্যায় বাধা ছিল না; যেমনটি তামীমে দারী (রা:) দাজ্জালকে একটি দ্বীপে বাধা অবস্থায় দেখেছিলেন। বরং নবী করীম সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইন্তেকালের পর সে জিঞ্জির থেকে মুক্ত হয়ে গিয়ে ছিল। িএখন সে তার আবির্ভাবের অনুমতির অপেক্ষা করছে। সুতারাং পরিপূর্ণ আযাদী তার ঐ সময় মিলবে, যখন সে পৃথিবী বাসীর সামনে প্রকাশ হয়ে নিজের খোদায়ী ঘোষনা করবে।

এটাও হতে পারে যে, বারমুডা ট্রিইঙ্গেলে ইবলিসের রাজত্ব আর জাপানের শয়তানি সমুদ্রে বা ইরানে আসপাহানে দাজ্জালের রাজত্ব। উভয় জায়গায় পারস্পরিক যোগাযোগও হয় এবং দুনো স্থান হতেই ইসলামের বিরুদ্ধে বরং সম্পূর্ণ মানবতার বিরুদ্ধে সার্বিক ষড়য়ন্ত্র জারি হয়। উল্লেখ্য যে জাপানের শয়তানী সুমদ্র আরবের পূর্বে অবস্খিত।

This entry was posted in Uncategorized. Bookmark the permalink.

Leave a comment