যারা কুরআন সুন্নাহর মাধ্যমে হিদায়াত আশা করে একমাত্র তাদের জন্যই এই পোষ্ট । পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেছেন ,اللّهُ وَلِيُّ الَّذِينَ آمَنُواْ يُخْرِجُهُم مِّنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّوُرِ وَالَّذِينَ كَفَرُواْ أَوْلِيَآؤُهُمُ الطَّاغُوتُ يُخْرِجُونَهُم مِّنَ النُّورِ إِلَى الظُّلُمَاتِ أُوْلَـئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদের অভিভাবক । তাদেরকে তিনি বের করে আনেন অন্ধকার থেকে আলোর দিকে । আর যারা কুফরী করে তাদের অভিভাবক হচ্ছে তাগুত । তারা তাদেরকে আলো থেকে বের করে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। এরাই হলো দোযখের অধিবাসী, চিরকাল তারা সেখানেই থাকবে । (সূরা বাক্কারাহ – ২৫৭) উক্ত আয়াতে আল্লাহ আরবী শব্দ যুলুমাত যার অর্থ করা হয়েছে অন্ধকার, আর আরবী শব্দ নূর যার অর্থ হচ্ছে আলো । চরমোনাই পীরের মুরীদের মধ্যে যারা আলেম এবং যেসব আলেম অন্যান্য পীরের মুরীদ তাদেরও বলছি কুরআনে বর্নিত যুলুমাত শব্দটি যা বহুবচনে বলা হয়েছে আর নূর শব্দটি বলা হয়েছে যা এক বচন । তার মানে অন্ধকারের পথ (কুফুরী) অনেক হবে আর আলো (হিদায়াত) পথ একটিই হবে । এইটার বাস্তব প্রমান আজ আমাদের সমাজে আমরা অবলোকন করতেছি । চরমোনাই পীর তার ভেদে মারেফত বইতে প্রথমেই বলেছে কিতাবে লেখা ১২৬ তরীকার কথা তার মধ্যে চিশতীয়া সাবেরিয়া শর্টকাট, সহজ । সহজ কথা চরমোনাই পীর মানুষরুপী শয়তান তাই শয়তান ঈমান ধ্বংসের জন্য ১২৬ তরীকা বয়ান করেছে । এটাই হচ্ছে যুলুমাত । আর পবিত্র কুরআনে বলেছে হিদায়াতের পথ একমাত্র, কেবলমাত্র, শুধুমাত্র একটা তা হচ্ছে রাসূলের তরীকা আর এটাই হচ্ছে নূর । চরমোনাই পীরের ভেদে মারেফত, আশেক মাশুক সহ তার সব বইতেই শিরক আর কুফরীতে ভরা । আপনি জেনে আশ্চার্য হবেন যে চরমোনাই পীরের বাপ দাদারা সবাই মিলে ২৭ টা বই লিখেছে তারমধ্যে একটা আছে তাবীজের কিতাব যেখানে শয়তান,ফেরাউন, হামানের কাছে সাহায্য পার্থনা করেছে এবং প্রত্যেকটার মধ্যে অসিয়ত আছে যাতে সবাই এইগুলো পড়ে কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে একটার মধ্যেও লেখা নাই কুরআন পড়ার কথা । আরো বলা আছে সবাই যেন বছরে অন্তত দুটো মাহফিলে হাজির থাকে, দুটো না পারলে ১টাতে যেন অবশ্যই থাকে । ইসলামের মধ্যে পীর বলতে কিছুই নেই বর্তমানে যারা পীর দাবী করে তারা সবাই ভন্ড , ধোকাবাজ । তাই নিজের ঈমানকে রহ্মার জন্য পীর থেকে দূরে থাকুন কুরআন সুন্নাহর জ্ঞান অর্জন করুন এবং অন্যদেরকেও সচেতন করতে পোষ্টটি শেয়ার করুন । জাযাক আল্লাহ।
সংগৃহিত……….
আল্লাহ কোরআনে পীর আউলিয়েদের সান ও মান নিয়ে যেখানে প্রসংসা করেছেন সেখানে কিকরে পীরকে শয়তান বলা হচ্ছে তা আমার বোধগম্য নয়। আর সুরা ফাতিহাতে সোজা পথ এর পর বলাআছে তাহাদের পথ যাদের তুমি নিয়ামত দান করেছ। আর আল্লাহ সুরা কাহ্ফ :পারা ১৫ থেকে ১৬:আয়াত ৬০ থেকে ৮২: এর মধ্যে স্পষ্ট এই নিয়ামতধারী বান্দা সম্পর্কে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
রসুলের জমানায় সকল সাহাবা গন আহালে বায়াত ছিলেন। রসুলের হাতে সকল সাহাবা বায়াত হয়েছেন। ::::::::কোরআনের দলিল::::::::: সুরা ফাতেহ পারা ১৬ রুকু ১ আয়াত ১০ “”” নিশ্চই যাহারা তোমার(রসুল সঃ) নিকট বায়াত হয় তহারা আল্লাহর নিকট বায়াত হয়। তাদের হাতের উপর আল্লাহর হাত””””””
সুরা আলে ইমরান
আয়াত ৫৬
“”সুতরাং যাহারা কাফির তহাদের কঠোর সাস্তি প্রদান করব দুনিয়াতে এবং আখিরাতে এবং তাহাদের জন্য কোন মরসেদ নেই””
আত্ম সুদ্ধি করতে হবে।
বায়াত হতে হবে।
কোরআনের ছোট্ট দুটি দলিল।
__________________________
আখিরাতের কঠিন ময়দানে আপনার কোন আমল ই কাজে আসবে না।
যদিনা আপনার আত্মা বা রুহ খানা পবিত্র না থাকে।চাই আপনি নামাজী বা দানবীর হোন না কেন।
তাই ভাই আগে আত্মসুদ্ধি দরকার।
এজন্য আল্লাহ পাক তার কোরআন মাজীদে ফরমাইয়াছেন।।
পারা ১৯।
সুরা শোয়ারা।
রুকু ৫।
আয়াত ৯০।
“”কিয়ামতের দিবসে ধন সম্পদ. সন্তান সন্তানাদী কোন কাজে আসবে না। কেবল সেই লাভবান হবে যে আল্লাহর নিকট পবিত্র/নির্দোষ আত্মা নিয়ে আসিবে।”””
তাহলে আাপনার আত্ম সুদ্ধি কি রুপ সম্ভব।
আর এর জন্য আপনাকে অবশ্যই পবিত্র বা নির্দোষ আত্মাওয়ালার সহবতে (সাথে) থাকতে হবে।।
“””””হাদিস সরিফে আছে।””””””
সহি বুখারি ও মসলেম সরিফ।
মাশারেকুল আনওয়ার-হাদিস নং ৩৭৯:
“”তাহারা (যাহারা সর্বদা খোদার জেকের বা ধ্যানে মসগুল খাকে) এমন এক সম্প্রদায়, যাহার নিকট উপনিবেষ কারী গন কখনো নৈরাস হবেনা।””””
এ সম্পর্কে মওলানা জালালুদ্দীন রুমি ফরমাইয়াছেন।
“”” আওলিয়া-আল্লাহর সহিত এক মুহুর্তের সঙ্গ শত বছর নফল বন্দেগীর চেয়ে উত্তম।”””””
আল্লাহ তার পাক কালামে মাজিদে আরো ফরমাইয়াছেন।
সুরা এ’রাফ
পারা ৯
রুকু ২২
আয়াত ১৮১
“”” আমার সৃষ্টির মধ্যে এরুপ এক সম্প্রদায় আছে যাহারা সত পথ প্রদর্শন করে।”””””
তবে আমরা কি সেই সম্প্রদায়ের অনুসরন করব না??
ভাই এর পরেও আপনার কথায় কি করে পীর কে অবমাননা করি? কোরআন আর হাদিস পড়ুন। নিজ আত্মাকে সুদ্ধ করুন বায়াত হন
LikeLike
সুরা মুনতাহিনা
আয়াত ১২।।
“”” আর ঐসকল নারী/মহিলা গন যখন তারা শপথ করে যে তারা হারাম বর্জন করে হালালের পথে থাকবে, হে রসুল আপনি তখন তাদের আনুগত্বের শপথ গ্রহন করুন।””””
নারীদের পর্যন্ত বায়াত বা অনুগত্বের শপথ করানোর কথা কোরআনে উল্লেখ আছে।
“”” ওয়ামা ইউদিলিল লাহু ফালাম তাজিদালা ওয়াল ইয়াম মুরসিদা”””””
অর্থ: “”” যে মুরসিদ পেলনা, সে পথভ্রষ্ট এবং গোমরাহ”””
LikeLike
মুরসিদ মানি তো পীর না সঠিক পথের দিশা দানকারী। সে হতে পারে ভাল কোন আলেম দাঈ..
LikeLike
allah jeno aponake bujar gawfiq dan korun
LikeLike
ভাই আশিক, আমি একটা সময় জেলা শাখার দায়িত্বশীল ছিলাম। আমার খটকা অনেক জায়গা আছে। আপনার বিবেককে নাড়া দেয়ার জন্য কয়েকটি বিষয় তুলে ধরছি।
.
১। পীর সাহেব ওয়াজের শুরুতে বলেন যে, পীর মানে মুরশিদ। আর মুরশিদ মানে শিক্ষক।
এখন আপনি যদি পীর বলতে আপনার কোন শিক্ষককে বুঝান তাহলে স্বয়ং পীর সাহেব এবং কোন মুরিদই আপনার কথা মেনে নেবেনা। পীর তার নিজের দিকেই ফিরাতে চেষ্টা করবে।
.
২। পীর সাহেব ওয়াজ করলেই বলেন যে, “বাবাজান বলতেন” আবার বলেন যে, “দাদাজান বলতেন।
আমার জিঙ্গাসা হলো, আপনিতো আলেম মানুষ। তাহলে কেন বাপ-দাদার গল্প করেন?
.
৩। ইসলামে তরীকাতো একটা, তাহলে ১২৬ টার কথা বলে কেন?
.
৪। ২৭ টা কিতাব পড়তে বলে, কিন্তু প্রতিদিন যে কুরআন তেলাওয়াত করতে হবে তা ভুলেও বলতে শুনিনি।
LikeLike
ভাই আশিক পবিত্র কুরআনের সুরাহ ক্কাফে কুঁথায় আপনার পীরের কথা বলা হয়েছে ১৫/১৬ নাম্বার আয়াতে একটু জানাবেন, আপনারা ইসলামের সঠিক পথ থেকে মানুষকে অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছেন , পবিত্র কুরআনের অপবেক্ষা করতে আপনাদের একটু ও বিবেকে বাধেনা ? আপনারাই সেই তাগুঁত যেখানে মানুষকে অন্ধকারে নিয়ে যাচ্ছেন ।
LikeLike